ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইউনাইটেড হাসপাতালে রিমা প্রমানিক (১৮) নামের নার্স মৃত্যুর ঘটনায় বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধন হয়। এসময় মানববন্ধনে অংশ নেয়া স্বজনগন ও এলাকাবাসী হাসপাতালটি ভাংচুর করে। (১৪ জুলাই) বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকার ঢাকা – সিলেট মহাসড়কে নিহত রিমার স্বজনরাসহ এলাকাবাসী এই মানববন্ধনে অংশ নেয়। তারা হাসপাতালের এম ডি সুমনসহ অপরাধীদের কঠোর বিচার দাবি করে। মানববন্ধনে রিমার এলাকা রায়পুরা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সহ- সভাপতি তাপস বিশ্বাস, হিন্দু পরিষদের সদস্য প্রজেৎসিত, মির্জাপুর ইউপির সদস্য বিউটি বিশ্বাস, ইউপি সদস্য আখিঁ রানী পাল, মোমেনুল ইসলামসহ প্রায় ৩০০ লোক অংশগ্রহন করে।
এসময় পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা তাপস বিশ্বাস তার বক্তব্যে বলেন, রিমা প্রমানিক হাসপাতালে জীবন তাগিদে চাকরি করত। সে একটি ভাল মেয়ে। ঈদের আগে ছুটিতে সে বাড়ী চলে যায়। কিন্ত ঈদের আগের দিন তাকে কর্তৃপক্ষ জরুরি ফোনে বাড়ী থেকে ডেকে এনে রাতে গলাটিপে হত্যা করে। আমরা এই হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে আজ প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করছি। রিমা কখনও আত্মহত্যা করতে পারেনা তাদের দাবি। হাসপাতাল ভাংচুর করা হলো কেন, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাপস বিশ্বাস বলেন, মানববন্ধনে অংশ নেয়া কিছু লোক এহত্যাকে মেনে নিতে পারছেনা। তারা জিদের বশঃবর্তী হয়ে কাজটি করে ভুল করেছে। এজন্য আমরা ক্ষমা চাই।
গত সোমবার ভোর রাতে ভৈরবের কমলপুরে অবস্থিত ইউনাউটেড হাসপাতালের কর্মী নার্স রিমা প্রমানিকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। বলা হয় রিমা আত্মহত্যা করে। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। ঘটনায় থানায় মামলা হলে হাসপাতালের এমডি হানিফুর রহমান সুমনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। অপর আসামী নার্স লিজা পলাতক রয়েছে।
হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও ভৈরব পৌরসভার সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আল- আমিন জানান, হাসপাতালে নার্স মৃত্যুর ঘটনাটি একটি দূর্ঘটনা। সে ভোর রাতে তার শয়নকক্ষে আত্মহত্যা করে। ঘটনায় মামলা করেছে স্বজনরা। আইনে যা হবার তা হবে। কিন্ত তারা আজ আমাদের হাসপাতাল ভাংচুর করে দুই লাখ টাকার ক্ষতি করে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে থানায় ভাংচুরের মামলা করব।
ভৈরব থানার সেকেন্ড অফিসার উপ- পরিদর্শক আবদুর রহমান জানান, ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করলে হাসপাতালের এমডি সুমনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে আনতে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। আইনগত সব ব্যবস্থা নেয়ার পরও নিহতের স্বজনরা আজ মানববন্ধন করে। এসময় তারা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাসপাতাল ভাংচুর করে যা সঠিক হয়নি। তাদের মানববন্ধনে তারা হত্যার বিচার চেয়েছে। ঘটনার মামলা তদন্ত করা হচ্ছে। এখন ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে তিনি জানান।
একটি দৃশ্যপট মিডিয়া লিঃ
Leave a Reply