ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে বোনকে উত্ত্যক্ত ও ইভটিজিং করার বিচার চাওয়ায় তিন ভাইকে কুপিয়ে জখমের খবর পাওয়া গেছে। এ সময় তাদের ঘরবাড়িও ভাঙচুর করা হয়। (২৩ জুলাই) শুক্রবার রাত ৭টায় পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- হাসান মাহমুদ, উলি উল্লাহ ও আসাদুল্লাহ। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাড়িতে বসবাস করছে ডা. আবু বক্কর ছিদ্দিকের পরিবার। তার ছোট মেয়ে ভৈরবের একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাসা থেকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন একই এলাকার কাজল মিয়ার ছেলে শিপন। রাস্তায় উত্ত্যক্তের ঘটনা বাসায় এসে পরিবারকে জানালে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে বিচার চাইলে তারা সালিশের তারিখ নির্ধারণ করেন।
সালিশের কথা শুনেই শুক্রবার রাতে বখাটে শিপনসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছিদ্দিকের বাসায় হামলা চালায়। এ সময় তার তিন ছেলে বাঁধা দিতে গেলে তাদের রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে বখাটেরা। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। তিন ভাইকে উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভুক্তভোগী ছিদ্দিক অভিযোগ করে বলেন, ‘স্কুলে যাওয়া আসার পথে মেয়েকে শিপন প্রতিদিনই উত্ত্যক্ত করে। এ নিয়ে আমি স্থানীয় গণ্যমান্য লোকদের কাছে বিচার চাই। তারা সালিশের তারিখ নির্ধারণ করেন। এরপরেই শুক্রবার রাতে শিপনসহ একদল লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হঠাৎ আমার বাসায় হামলায় চালায়। আমার তিন ছেলে বাঁধা দিলে রামদা দিয়ে কুপিয়ে তাদের গুরুতর আহত করে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের চাই।’
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, তিন ভাইকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।
একটি দৃশ্যপট মিডিয়া লিঃ
Leave a Reply