ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। এমনি ঘটনা গঠেছে বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় শহরের ভৈরব পুর দক্ষিণ পাড়া এলাকায় স্বামী জাহিদ হাসান (২১) স্ত্রী মিতু বেগমের (১৯) উপড়। জাহিদ হাসান উপজেলার শম্ভুপুর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।আর মিতুর বাবার জিন্নত আলী পঞ্চবটি এলাকার বাসিন্দা। তারা ভৈরব পুর দক্ষিণ পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত। মিতু ও জাহিদ দম্পতির একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এবার গর্ভে একটি ছেলে সন্তান এসেছিল।

পরে ঘটনাটি গুরুতর হলে, গুরুতর আহত মিতু বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। ঢাকার হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তারগন শুক্রবার দুপুরে তাকে জরুরী ভিত্তিতে অপারেশন করলে দেখা যায় তার সাত মাসের গর্ভের সন্তান পেটের ভিতর মারা যায়।পরে অপারেশন করে মৃত সন্তান ডেলিবারী করে ডাক্তারগন। এই ঘটনায় বৃহস্প্রতিবার রাতেই মিতু বেগমের মা পারভিন বেগম বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি মামলা করলে পুলিশ স্বামী জাহিদকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার সকালে জাহিদকে কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

মামলার এজাহার ও পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, গত দুই বছর আগে দুজনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরই মধ্য মিতু বেগম সাত মাসের অন্তসত্তা ছিল। স্বামী জাহিদ প্রায়ই নেশা করে তাকে মারধোর করত। অনেক সময় নেশা টাকা পেতে স্ত্রীর উপর শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। বৃহস্পতিবার রাতে নেশার টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেয়। টাকা না দিলে সে তার স্ত্রীকে পেটের মধ্য ছুরিকাঘাত করলে মিতু বেগম গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা গুরুতর দেখে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে শুক্রবার দুপুরে মিতু বেগমের অপারেশন করলে দেখতে পায় গর্ভের সন্তান পেটের ভিতর মারা যায়।
মিতু বেগমের বোন ঝমুর বেগম বলেন, আমার ভগ্নিপতির ছুরিকাঘাতে তার গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হয় বলে ডাক্তারগন জানিয়েছেন। তবে অপারেশন হলেও মিতুর অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন বলে তিনি জানান।

সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মিতু আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা অবগত রয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামী জাবের গ্রেফতার রয়েছে।’
ভৈরব পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক শ্যামল মিয়া জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষনাত তাদের বাসায় গিয়ে স্বামী জাহিদ হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনায় মিতুর মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করে। মামলাটি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।