নিজস্ব প্রতিবেদক:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইউনিয়ন পরিষদে জিআর (খাদ্য সহায়তা) বরাদ্দের চাল সরবরাহ নিয়ে অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। গত ৩০ জুন বরাদ্দের ডিও লেটারের সরবরাহের মেমোতে চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেও চাল সরবরাহ নিয়েছেন ২০ দিন পরে। এদের মধ্যে আগানগর, গজারিয়া, সাদেকপুর ও শ্রীনগর ইউনিয়ন রয়েছে। তাই এই ঘটনাটি ঘিরে অনেকের কাছে রহস্যজনক মনে হয়েছে।
জানাযায়, এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ দরিদ্রদের জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে উল্লেখিত চারটি ইউনিয়নে জিআর (খাদ্য সহায়তা) বাবত প্রায় ৮০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দকৃত চাল চেয়ারম্যানগন ডিও লেটার পেয়ে গত ৩০ জুন ভৈরব খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহের মেমোতে স্বাক্ষর করেছে। অর্থাৎ মেমোতে স্বাক্ষরের পর পর বরাদ্দকৃত চাল স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে নিয়ে বিতরণ জন্য দেওয়া হয়েছে। কিন্ত গত ১৮ জুলাই পর্যন্ত কোন ইউনিয়নে বরাদ্ধকৃত চাল নিয়ে যায়নি। এ বিষয় নিয়ে নানা জল্পনা ও রহস্যজনক বলে মনে করছেন এলাকাবাসী ।
এবিষয়ে আগানগর ইউপির সদস্যরা জানতে পারলে তারা চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ূন কবিরের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক ও ইউএনও’র বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।এখবর যখন বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হয় তখন অন্যান্য তিনটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন তৎপর হয়ে উঠে। তারা তখন গত দুদিনে বরাদ্দকৃত ৬০ টন চাল ভৈরব খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহ করে।
এবিষয়ে ভৈরবের বিভিন্ন এলাকার জনগণের প্রশ্ন গত ৩০ জুন চাল সরবরাহ দেখানো হয়েছে সেখানে ২০ দিন পর চেয়ারম্যানগন কেন গুদাম থেকে চাল সরবরাহ করেছে । তাহলে কি অন্য কোন রহস্য আছে কিনা তা জানতে জনগণের কাছে প্রশ্নের দেখা দিয়েছে।
এবিষয়ে আগানগর ইউপি সদস্য আঃ হামিদ জানান, চেয়ারম্যান হুমায়ূন আমাদেরকে অবগত না করে ২০ টন চাল বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করেছিল। আমরা অভিযোগ দেয়ার পর এ চাল কিনে আবার গুদামে মজুত করে।
গজারিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শাহরিয়ার কবির জানান, ইদের আগে আমার গুদাম সংকটের কারণে চাল দেরিতে আমদানী করেছি। একই কথা বললেন সাদেকপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেফায়েত হোসেন ও শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ।
ভৈরব খাদ্য গুদামে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, চারটি ইউনিয়নে গত চারদিনে ৬০ টন জিআরের চাল সরবরাহ দেয়া হয়েছে। অথচ এচাল গত ৩০ জুন গুদাম থেকে ডেলিবারী দেখানো হয়েছে। বিষয়টি জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।
ভৈরব উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা সাগর হোসেন শওকত জানান, দেশের সব আইন সবসময় বাস্তবায়ন হয়না। জুন ৩০ তারিখের মধ্য জিআর বরাদ্দের চাল খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহ দেখাতেই হবে। ঈদের আগে ভিজিডি, টিসিবির মালামাল বিতরণে চেয়ারম্যানগন ব্যস্ত ছিল তাই তারা চাল সরবরাহ নিতে পারেনি। বিষয়টি অনিয়ম হলেও মানবিক দিকটি দেখতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, ঈদের আগে চেয়ারম্যানদের এলাকার গুদাম খালি ছিলনা যা আমাকে তারা জানিয়েছে। একারণে বিলম্বে চাল সরবরাহ নেয় তারা। ডেলিবারিতে অনিয়ম হলেও বিষয়টি মানতে হবে।
একটি দৃশ্যপট মিডিয়া লিঃ
Leave a Reply