ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সরকার সাফায়েত উল্লাহর ছেলেদের হামলায় বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হকের ছেলেদের গুরুতর আহত করার ঘটনায় আদালতে ২২ জনকে আসামী করে একটি মামলা করা হয়।(৩ আগস্ট) বুধবার কিশোরগঞ্জ আমলী আদালত-২ এ মামলাটি দায়ের করেন আহত রাফির বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হক। আদালতের বিচারক অভিযোগটি শুনানীর পর মামলাটি কিশোরগঞ্জের পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলো ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউপি চেয়ারম্যান শাফায়েত উল্লাহ’র চার ছেলে নাহিদ (২০) জাহিদ (১৮), রাহিম (২৫), মিরান (২২) সহ মোট ২২ জন। অভিযোগে বলা হয় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত রোববার বাদীর প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যানের ছেলেরাসহ একদল সন্ত্রাসী তার ছেলেকে হত্যার উদ্যেশে মারধোর করে গুরুতর আহত করে। আহত রাফি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। থানার ওসি অভিযোগ গ্রহণ করে মামলাটি না নেয়ায় আদালতে মামলা করেন তিনি।
ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের সাবেক দুই মেয়াদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হক। অপরদিকে একই ইউনিয়নের দুই মেয়াদের চেয়ারম্যান মোঃ শাফায়েত উল্লাহ। তারা দুই পক্ষের মধ্য দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত রয়েছে শত্রুতা। এলাকায় দুই পক্ষের মধ্য একাধিক খুনের ঘটনাও ঘটেছে। এই শত্রুতার জের ধরেই ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনা সূত্রে জানায়, গত রোববার তোফাজ্জল হক চেয়ারম্যানের ছেলে তার এলাকা সাদেকপুর গ্রামে একটি স্কুলে জাতীয় আইডি কার্ডের ছবি তুলে শহরের বাসায় অটোরিক্সাতে ফেরার পথে চেয়ারম্যান সাফায়েতের ছেলেরাসহ একদল সন্ত্রাসী তার উপর আক্রমন চালালে রাফিসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়।
মামলার বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হক জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিনা কারণে তারা আমার ছেলেকে মেরে আহত করে। ঘটনায় থানায় মামলা দিতে গেলে অফিসার ইনচার্জ ( ওসি)আমার মামলা নিবেনা বলে জানিয়ে দেন। কারণ শাফায়েত উল্লাহ আ,লীগ থেকে নৌকা মার্কা নিয়ে এবার ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। আমি প্রতিদ্বন্দি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছি, এটাই মামলা না নেয়ার কারণ বলে আমি মনে করছি। বাধ্য হয়ে ঘটনার বিচার পেতে আমি আদালতে মামলা করেছি।
একটি দৃশ্যপট মিডিয়া লিঃ
Leave a Reply