ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক কিশোরী(১২)কে রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। কিশোরী ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান সবুজ ও ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.গোলাম মোস্তফার কাছে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা রোজিনা বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে পৌর শহরের চন্ডিবের উত্তরপাড়ায় নিজ বাড়িতে পড়াশোনা করছিলো ৫ম শ্রেণির ওই ছাত্রী । এ সময় বাড়িতে আর কেউ ছিলো না। এই সুযোগে প্রতিবেশী আলীর ছেলে রিকশাচালক সোরাফ মিয়া (৫০) জোর করে তাকে তুলে নিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে নির্যাতন করে। পরে ছাত্রীর মা বাড়িতে ফিরে মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করে। এক পর্যায়ে দেখেন যে মেয়েটি বাড়ির পাশে বসে কান্না করছে। পরে সে বিষয়টি তার মাকে জানায়। পরবর্তীতে শিশুটির মা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসির নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভোক্তভোগীর মা রোজিনা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে বাসায় একা পেয়ে মাদকাসক্ত সোরাফ জোর করে তুলে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেছে। এই ঘটনার বিচার পেতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছে বিচার দিলে তারা সোরাফের বিচার করতে পারবে না বলে জানান। তবে তাদেরকে যদি নগদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয় তাহলে তারা বিচার করে দিবে বলে জানিয়েছে। আমি গরিব মানুষ এত টাকা পাবো কয়। তাই মেয়ের নির্যাতনের বিচার পেতে ইউএনও ও ওসি সাহেবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। আমার মেয়ের সাথে যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে আমি তার শাস্তি দাবি করছি।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, বুধবার দুপুরের দিকে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মা তার মেয়েকে নিজ বাসা থেকে তুৃলে নিয়ে নির্যাতন করেছে এমন অভিযোগ নিয়ে আসেন। আমি অভিযোগ শুনে তাৎক্ষণিক ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.গোলাম মোস্তফাকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.গোলাম মোস্তফা জানান, ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে।
একটি দৃশ্যপট মিডিয়া লিঃ
Leave a Reply