ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে সরকারি (জিআর) চাল বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম কিশোরগঞ্জ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দুর্নীতি দমন আইনে এ মামলা করেন। গতকাল বুধবার দুপুরে অভিযোগের শুনানি শেষে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক ছায়েদুর রহমান খান।
গত বৃহস্পতিবার জিআর কর্মসূচির বরাদ্দ করা ২০ টন চাল বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির বিরুদ্ধে আগানগর ইউপির সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম কিশোরগঞ্জ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় ৯ জন ইউপি সদস্যকে সাক্ষী করা হয়। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মো. হুমায়ুন কবির।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউপির গরিব, অসহায় ও বন্যাদুর্গতদের মধ্যে বিতরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
থেকে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার মাধ্যমে ২০ টন জিআরের (খাদ্যসহায়তা) চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের না জানিয়ে এই চাল গত ২৯ ও ৩০ জুন ভৈরব খাদ্যগুদাম থেকে উত্তোলন করেন এবং কালোবাজারে ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেন।
জানতে চাইলে মামলার বাদী ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী জিআর কর্মসূচির চাল বরাদ্দ দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে গুদাম থেকে উত্তোলন করে এলাকায় নিতে হবে এবং গরিব, অসহায় ও বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ইউপি সদস্যদের নিয়ে বিতরণ করতে হবে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির পরিষদের সদস্যদের এ বিষয়ে না জানিয়ে চাল উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করে দেন বলে জানতে পারি। এমনকি কাগজপত্রে চালগুলো গুদাম থেকে উত্তোলন করা হলেও এলাকায়ও নেওয়া হয়নি।
আগানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির বলেন, রাস্তাঘাট খারাপ হওয়ায় চালগুলো সঠিক সময়ে নিতে পারেনি। তবে কিছুটা বিলম্ব হলেও চালগুলো ইউনিয়নের গরিব, অসহায় ও বন্যার্তদের মধ্য বিতরণ করা হয়েছে।
একটি দৃশ্যপট মিডিয়া লিঃ
Leave a Reply