ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে টার্মিনালের ভেতরে বাস চাপায় তায়েব মিয়া (২২) নামে এক পরিবহণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। (৯আগস্ট) মঙ্গলবার সকালে ভৈরব পৌর বাসটার্মিনালের ভেতরে প্রবেশের সময় আরাকান পরিবহনের বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তবে নিহতের পরিবারের দাবী ইচ্ছাকৃতভাবে পেছন থেকে চাপা দিয়ে তাকে হত্যা করেছে বাস চালক জামান। নিহত তায়েব ঢাকা-মহাখালি সড়কের চলনবিল বাস সার্ভিসের হেলপার ছিলেন। নিহত তায়েব মিয়া স্ত্রী ও এক শিশুপুত্র নিয়ে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আলীম সরকার বাড়িতে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণা জেলায়। বাবার নাম কামাল মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে তায়েব মিয়া ভৈরব পৌর বাসটার্মিনালের ভেতরে প্রবেশের সময় আরাকান পরিবহণের একটি বাস তাকে পিছন দিক থেকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ওই বাসটির চালক ছিলেন জামান মিয়া (৩০) নামের এক ব্যক্তি। ঘটনার পর থেকে জামান পলাতক রয়েছেন। তবে জামানের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই বলে দাবি সেখানকার অনেক পরিবহণ শ্রমিকের।
চলনবিল পরিবহণের হেলপার ও তায়েবের সহকর্মী শাকিল মিয়া জানান, সকাল ৯টার দিকে তারা দুজন বাসস্ট্যান্ডের একটি রেঁস্তোরায় নাস্তা করেছেন এক সাথে। রেঁস্তোরা থেকে বের হয়ে তায়েব টার্মিনালের ভেতরে ঢুকারমুখে বাসটি তাকে চাপা দেয়। খবরটি শুনে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন তায়েব মারা গেছেন।
নিহত তায়েবের মামা কাজল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, তার ভাগিনা তায়েব ও চালক জামান দুইজনেই মাদকাসক্ত। মাদক নিয়ে তাদের মাঝে বিরোধ ছিলো। সেই বিরোধের জেরেই জামান তায়েবকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তার দাবি, টার্মিনালের ভেতরে যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে এমন দুর্ঘটনা ঘটার কথা নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে পেছন থেকে চাপা দিয়ে তার ভাগিনাকে হত্যা করেছে জামান। তিনি তার ভাগিনা হত্যার বিচার দাবি করেন।
একটি দৃশ্যপট মিডিয়া লিঃ
Leave a Reply