1. etcnews2022@gmail.com : etcnews :
রবিবার, ১১ জুন ২০২৩, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ব্রেকিং নিউজ

ভৈরবে জাতীয় শোক দিবসে শ্রদ্ধা জানানোর প্রয়োজনবোধ মনে করেননি যারা

  • প্রকাশকাল মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২
  • ৫৭ পড়েছেন

বিশেষ প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসুচি পালনে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কমর্চারীদের বিরুদ্ধে অবহেলা ও গাফলতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে প্রয়োজনবোধ মনে করেননি দেশের শীর্ষ স্থানীয় বেসকারী সংস্থা ব্রাক, আশা, পপি, আরডিআরএস, সুক ও টিএমএসএসসহ বেশিরভাগ এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো। এমন কি জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসেননি সরকারের জ্বালানী তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যুমনার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শুধু তাই নয়, সরকারী চাকুরী করেও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর প্রয়োজন বোধ মনে করেননি খোদ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাগর হোসেন সৈকত। এছাড়াও সরকারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ভৈরব ইনকাম টেক্স অফিস থেকেও কেউ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে যায়নি। সরকারের নিদের্শনা অনুযায়ী জাতীয় শোক দিবসে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কালো ব্যজ ধারণ, মিলাদ মাহফিল, অফিসের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধ নিমিত করে উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর ব্যনার টানানোসহ জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুলে দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কথা থাকলেও অবহেলা ও গাফলতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় শোক দিবসের কর্মসুচি পালনের প্রয়োজনবোধ মনে করেননি তারা। আর অবহেলা ও গাফলতির মাধ্যমে শোক দিবসের কর্মসূচিকে এড়িয়ে গেছেন যারা, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ।

সরেজিমনে ঘুরে দেখা যায়, শহরের কমলপুর বাস্ট্যান্ড এলাকায় আশা অফিস থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শোক দিবসে ফুল শ্রদ্ধা জানানো তো দূরের কথা, অফিসের সামনে শোক দিবসের কোন চিহ্ন নেই। হাজী আসমত কলেজ সংলগ্ন ব্রাক অফিসে গিয়ে ছোট একটি ব্যনার ও জাতীয় পতাকা অর্ধ নিমিত করে রাখলেও কেউ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল শ্রদ্ধা জানাতে যায়নি। এছাড়াও টিএমএসএস অফিসেও শোক দিবস পালনের কোন চিহ্ন নেই। তাছাড়া আলাল কমিশনারের বাড়িতে অবস্থিত আরডিআরএস ও সুক অফিস থেকেও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যায়নি কেউ। আর সরকারের জ্বালানী তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যুমনা থেকেও কেউ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যায়নি।

একাধিক সূত্রে জানাযায়, শুধু তাই নয়, মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস কিংবা বিজয় দিবসেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায়নি তাদেরকে। অথচ, সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের এমন কান্ডে অবাক উপজেলা আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা।

উপজেলা প্রসাশন সূত্রে জানাগেছে, সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত উপজেলা কমপ্লেক্স ভবণের সামনে অবস্থিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে উপজেলা প্রসাশনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়াও আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংকৃতিক সংগঠনসহ সমাজের নানা শ্রেণি পেশার লোকজনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। কিন্তু বেসকারী সংস্থা ব্রাক, আশা, পপি, আরডিআরএস, সুক ও টিএমএসএসসহ সরকারের জ্বালানী তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যুমনার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেনি কেউ।

শোক দিবসের কর্মসূচি পালন না করে এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন না করার বিষয়ে অবহেলা নাকি গাফলতি রয়েছে। এমন প্রশ্নের জাবাবে- ভৈরব ব্রাক অফিসের ম্যানেজার আসাদুজ্জামান বলেন, আসলে ভুল হয়ে গেছে। আর টিএমএসএস অফিসের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের আশুগঞ্জ এরিয়া অফিসের শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তাই, ভৈরব অফিসের দিবসটি পালনের প্রয়োজন বোধ মনে করেন না তারা। তাছাড়া আশা অফিসের ম্যানেজার সোহেল রানা বলেন, অফিসের সামনে পতাকা উত্তোলণ করতে পিয়নকে দায়িত্ব দিয়ে ছিলেন। এছাড়া আরডিআরএস ম্যানেজার শাহারুল জানান, মাসিক কিস্তিু আদায়ে মাঠে গিয়ে ছিলেন তিনি। ব্যস্ততার কারণে ফুল নিয়ে যেতে পারেনি। এদিকে সরকারের জ্বালানী তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যুমনা থেকে যদিও কেউ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যায়নি। তবে, ডিপো অফিসে মিলাদ মাহফিল এবং ব্যনার টানানো হয়েছে বলে দাবী করেন ডিপো ইনচার্জরা। আজকের এইদিনে কোথায় রয়েছেন, এমন প্রশ্নের জাবাবে- মুঠোফোনে ৩ ইনচার্জই (ওয়াহিদুল হাসান, মতিউর রহমান ও নাজিম উদ্দিন) ঢাকায় রয়েছেন বলে জানান। এছাড়াও পিঠে ব্যথার কারণে সময় মতো উপস্থিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারেনি বলে জানান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাগর হোসেন সৈকত। তবে, তিনি উপজেলায় ছিলেন বলেই দাবী করেন।

জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন না করে অবহেলা ও গাফলতি যারা করেছেন, তারা মহান মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করেন। একই সঙ্গে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে অস্বীকার করেন বলে মনে করেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ। তার মতে, সরকারের র্উধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এছাড়াও যারা রাষ্ট্রীয় নিদের্শ অমান্য করে, রাষ্ট্রীয় দিবসগুলোর কর্মসূচি পালনে অবহেলা এবং গাফলতি করেন। তারা ফাঁকিবাজ ও ধোকাবাজ, তাদের দ্বারা সমাজ কিংবা দেশের কোন উন্নতি হবে না বলে মনে করেন সমাজের বিশিষ্ট জনসহ আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এধরণের অন্যান্য সংবাদ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি                    

একটি দৃশ্যপট মিডিয়া লিঃ

 
কারিগরি সহায়তায়- White NS

প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST