ভেজাল বিরোধী অভিযানে
নাজির আহমেদ আল-আমিন:
ছুটির দিনে সকাল থেকেই অফিসে নথিপত্রের পেন্ডিং কাজগুলো করছিলাম। একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসল ” স্যার হলুদ পট্টিতে দুটি কারখানা হলুদ মরিচে ভেজাল কিছু মিশানো হচ্ছে।” বিলম্ব না করে পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থলে যাওয়ার আগেই একটি মিল খোলা রেখেই মালিক কর্মচারী পালিয়ে যায়। পাশের মিলে কাজ চলছিল। চলমান মিলটিতে সব ঠিক থাকায় ধন্যবাদ দিয়ে চলে আসি। মালিক কর্মচারী পালিয়ে যাওয়া মিলটিতে ভয়াবহ অবস্থা। হলুদ মরিচে মিশানো হচ্ছে রঙ ও নানা রকম ক্যামিকাল, চাল, ধানের কুড়া। আরও পাওয়া গেল পচা মরিচ ১বস্তা (প্রায় ৭০ কেজি)। ভেজাল মিশ্রিত হলুদ প্রায় ১০০ কেজি, মরিচ ১০০ কেজি। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নাছিমা বেগমকে দায়িত্ব দেয়া হয় ভেজাল মালামালগুলো বিনষ্ট করার এবং কারখানাটিকে সিলগালা করা হয়। এমনিইভাবে বলছিলেন ভেজাল বিরোধী অভিযানে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ। (২০ আগস্ট) শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পৌর শহরের বাজার এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন।
আদালত সূত্র জানায়, গেল কয়েক দিন ধরেই ভেজাল বিরোধীসহ উচ্ছেদ অভিযান করে আসছে। সেই মোতাবেক আজও ভৈরব বাজারে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযানে যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় মসলা কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭০ কেজি পঁচা মরিচের বস্তা। প্রায় ১০০ কেজি ভেজাল মিশ্রিত হলুদ ও মরিচ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ভৈরব পৌরসভার নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নাছিমা বেগম ভেজাল মালামালগুলো ধ্বংস করেন এবং সেই সাথে কারখানাটিকে সিলগালা করা হয়। এছাড়াও অভিযানের সময় বাজারের কাপড় পট্টি, মিষ্টি পট্টিসহ রাস্তা দখল করা বেশ কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তাছাড়া বারবার অমান্য করা স্বত্তেও বেআইনিভাবে রাস্তা দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করায় ২ দোকানকে সিলগালা করা হয়। আর মূল্য তালিকা না থাকায় এবং রাস্তা দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করায় ৭ প্রতিষ্ঠানকে ৪৪ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ আরও বলেন জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর নাসিমা বেগমসহ ভৈরব শহর ফাঁড়ি পুলিশ সদস্যরা অভিযানে সহযোগিতা করেন।
একটি দৃশ্যপট মিডিয়া লিঃ
Leave a Reply