ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামানকে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
ভৈরব প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতাকে হয়রানীর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এমন অভিযোগ এনে(২০ আগস্ট) শনিবার দুপুরে গকুলনগর গ্রামে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হয়রানীর শিকার উপজেলার আগানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান ও তার লোকজন।
জানাগেছে, গেল ইউপি নির্বাচনে আগানগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম ও বিল্লাল মিয়া প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। ফলে তাদের মতের অমিল ছিল। এরই জের ধরে গকুলনগর বাজারে গত বুধবার রাতে প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় শফিকুল ইসলাম আহত হয়। পরে এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শফিকুল ইসলামের স্ত্রী কবিতা বেগম বাদী হয়ে ২১জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় মনিরুজ্জামানকে ১৯ নম্বর আসামী করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আগানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামানের দাবী করেন, তাকে শুধুমাত্র হয়রানীর উদ্যেশে মামলায় আসামী করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল আলী, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হাবিব মিয়া ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ ও ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। সংবাদ সম্মেলনে মনিরুজ্জামানকে মামলা থেকে অব্যহতির দাবী জানান তারা।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত শফিকুল ইসলাম জানান, নির্বাচনের পর থেকেই তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত ছিল। এছাড়াও স্কুল যাওয়া আসার পথে বিল্লাল মিয়ার এক নাতি আমার দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ইভটিজিং করে আসছে। ফলে আমার ছেলে এর প্রতিবাদ করায় তারা আমার উপর হামলা চালায়।
যদিও অভিযোগটি অস্বীকার করেন প্রতিপক্ষের বিল্লাল মিয়া। তার দাবী, তুচ্চ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মারামারি ঘটনা ঘটেছে। এতে আমার পক্ষের দুই-তিনজন আহত হয়েছে। এছাড়াও শফিকুল ইসলাম অশৃঙ্খল প্রকৃতির লোক বলে দাবী বিল্লাল মিয়ার।
এ ব্যপারে ভৈরব থানার ওসি মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমণ আইনে মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়েছে। এ মামলায় যদি কাউকে হয়রানীয় উদ্যেশে আসামী করা হয়ে থাকে আর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যদি ঘটনার সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্তা না পাওয়া যায়। তাহলে অবশ্যই আদালতে চার্জশিট জমা দেবার সময় তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হবে।
একটি দৃশ্যপট মিডিয়া লিঃ
Leave a Reply