ভৈরব থানায় জব্দ গাড়ী গোপনে বিক্রির অভিযোগ ” বিভিন্ন মিডিয়ায় নিউজ প্রকাশিত হয়। নিউজে বলা হয়েছিল থানার মালখানার দায়িত্বে থাকা এসআই আবুসাঈদ গোপনে ১৪ টি জব্দ গাড়ী বিক্রি করে ৮/১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানায় জব্দকৃত গাড়ী গোপনে বিক্রি করার অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় পুলিশের এসআই আবুসাঈদকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে ।(২১ আগস্ট) রোববার কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে এবিষয়ে ভৈরব থানায় চিঠি পাঠানো হয়েছে।
তদন্তে প্রমানিত হয় এসআই আবুসাঈদ থানায় জব্দকৃত ৫ টি প্রাইভেট কার ও ৪ টি সিএসজি গোপনে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়। গত ২৩ মে ” ভৈরব থানায় জব্দ গাড়ী গোপনে বিক্রির অভিযোগ ” বিভিন্ন মিডিয়ায় নিউজ প্রকাশিত হয়। নিউজে বলা হয়েছিল থানার মালখানার দায়িত্বে থাকা এসআই আবুসাঈদ গোপনে ১৪ টি জব্দ গাড়ী বিক্রি করে ৮/১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ঘটনায় আরও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে। নিউজ প্রকাশের পর তখন পুলিশ বিভাগে খবরটি দেখে কিশোরগঞ্জের তৎকালীন পুলিশ সুপার মোঃ মাশরুকুর রহমান খালেদ ( বিপিএম/বার) বিষয়টি তদন্ত করতে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এছাড়া বিষয়টি পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি অফিস থেকে পৃথকভাবে তদন্ত হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
এবিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তাকে পুলিশ সুপার ক্লোজড করেছেন তবে কি কারণে করেছেন তা আমি বলতে পারবনা।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন) ও ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাক আহমেদকে এবিষয়ে জানতে তার মোবাইলে বার বার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে সদ্য যোগদানকৃত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখকে মোবাইলে ফোন করলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ও সাবেক কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ মাশরুকুর রহমান খালেদ মোবাইলে জানান, এবিষয়টি অনেক আগেই তদন্ত হয়েছে এবং তদন্ত রিপোর্ট ঢাকা রেঞ্জ অফিসে পাঠানো হয়। এখন এসআই আবু সাঈদ ক্লোজ হলে তাকে নব যোগদানকৃত পুলিশ সুপার ক্লোজড করেছে। বিষয়টি এখন আমি জানিনা।
একটি দৃশ্যপট মিডিয়া লিঃ
Leave a Reply