1. etcnews2022@gmail.com : etcnews :
সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ভৈরবকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা ঘোষণা ভৈরবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত ভৈরবে যাত্রীবাহী বাস থেকে গাজাঁসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার আজ ২০ মার্চ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী ভৈরবে বিকট শব্দে মোটরসাইকেল চালানোকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ,পুলিশের ৬১ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ দৈনিক অধিকারের বর্ষসেরা সাংবাদিক এস এম মিজানুর রহমান মজনু ভৈরবে আট গুণীজনকে সম্মাননা দিলো এনটিভি দর্শক ফোরাম ভৈরব যেন ঢাকার বাহিরে আরেকটি শাহবাগ মোড় ভৈরবে সাততলা ভবন থেকে পড়ে এক রংমিস্ত্রির মৃত্যু  পিকাআপ ভ্যানে গাঁজা পাচারকালে দুই মাদক কারবারি আটক
ব্রেকিং নিউজ
ভৈরবকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা ঘোষণা ভৈরবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত ভৈরবে যাত্রীবাহী বাস থেকে গাজাঁসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার আজ ২০ মার্চ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী ভৈরবে বিকট শব্দে মোটরসাইকেল চালানোকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ,পুলিশের ৬১ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ দৈনিক অধিকারের বর্ষসেরা সাংবাদিক এস এম মিজানুর রহমান মজনু ভৈরবে আট গুণীজনকে সম্মাননা দিলো এনটিভি দর্শক ফোরাম ভৈরব যেন ঢাকার বাহিরে আরেকটি শাহবাগ মোড় ভৈরবে সাততলা ভবন থেকে পড়ে এক রংমিস্ত্রির মৃত্যু  পিকাআপ ভ্যানে গাঁজা পাচারকালে দুই মাদক কারবারি আটক

সেদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আ.লীগের সমাবেশে যা ঘটেছিল

  • প্রকাশকাল রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২
  • ৩৪ পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট দিনটি ছিল শনিবার। বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সন্ত্রাস ও বোমা হামলার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশ উপলক্ষে মানুষের ঢল নেমেছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে। সমাবেশ শেষে সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল করার কর্মসূচি থাকায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি ট্রাককে মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

শেখ হাসিনা বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে বক্তব্য শেষ করে ট্রাক থেকে নেমে সিঁড়ির কাছে গেলে মুহূর্তেই শুরু হয় নারকীয় গ্রেনেড হামলা। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হতে লাগল একের পর এক গ্রেনেড। মুহূর্তেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে একের পর এক গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় হামলাকারীরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ১৩টি গ্রেনেড বিস্ফোরণের বীভৎসতায় মুহূর্তেই রক্ত-মাংসের স্তূপে পরিণত হয় সমাবেশস্থল। হামলায় প্রধান লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনা।

বিষয়টি বুঝতে পেরে ট্রাকে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ নেতা ও শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক মানববলয় রচনা করে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন বঙ্গবন্ধু কন্যাকে। ওই হামলায় দলের তৎকালীন কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ নিহত হন ২৪ নেতাকর্মী। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। আহত হন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, আওয়ামী লীগের নেতা আমির হোসেন আমু, প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক, প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী।

শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি ১৩টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করেই ক্ষান্ত হয়নি ঘাতকরা, গ্রেনেডের আঘাতে প্রাণ কেড়ে নিতে না পেরে শেখ হাসিনার গাড়িতে বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়েছিল। পরিকল্পিত ও টার্গেট করা ঘাতকদের নিক্ষিপ্ত গুলি ভেদ করতে পারেনি শেখ হাসিনাকে বহনকারী বুলেটপ্রুফ গাড়ির কাচ। শেখ হাসিনাকে আড়াল করে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে জীবন দেন তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রহমান। নারকীয় এ হামলায় প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দের কারণে শেখ হাসিনার বাম কান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাম কানে শ্রবণশক্তি হারান শেখ হাসিনা। দেশে-বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার এতদিন পরও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারনেনি তিনি। পরিকল্পিত হামলায় মৃত্যুর দুয়ার থেকে শেখ হাসিনা ফিরে এলেও সেদিন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় পুরো এলাকা।

এ ভয়ংকর গ্রেনেড হামলার পর সেদিন স্পিøন্টারের আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন বহু মানুষ। আকস্মিক মৃত্যু আর রক্তস্রোতে শান্তিপ্রিয় অসংখ্য মানুষের হাত-পাসহ বিভিন্ন অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। কারো হাত নেই, কারো পা উড়ে গেছে। রক্তে ভিজে লাল হয়ে যায় পিচঢালা কালো পথ। অস্থায়ী সভামঞ্চ ট্রাকের চারপাশে রক্তের আলপনা, শত শত মানুষের আর্তচিৎকার। প্রাণ বাঁচানোর জন্য মুমূর্ষুদের আকুতি, কাতর আর্তনাদসহ অবর্ণনীয় মর্মান্তিক সেই দৃশ্য। সেদিন যদি ঘাতকদের নিক্ষিপ্ত গ্রেনেড জনসভার জন্য ব্যবহৃত ট্রাকে বিস্ফোরিত হতো, তবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কোনো জ্যেষ্ঠ নেতাই প্রাণে রক্ষা পেতেন না। ছিল তাই ঘাতক চক্রের মূল পরিকল্পনা।

ঘটনার পর যারা মর্মান্তিকভাবে নিহত হন

২১ আগস্টের সেই রক্তাক্ত ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১৬ জন। পরে হাসপাতালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ও দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ আরো ৮ জন নিহত হন। আইভি রহমান ৫৮ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ২৪ আগস্ট মারা যান। আহত হওয়ার পর প্রায় দেড় বছর মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হেরে যান আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা ও প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ।

রক্তাক্ত-বীভৎস ওই ভয়াল গ্রেনেড হামলায় নিহত অন্যরা হলেনÑ মোসতাক আহম্মদ সেন্টু, শেখ হাসিনার দেহরক্ষী ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা), হাসিনা মমতাজ রীনা, রিজিয়া বেগম, রতন শিকদার, মোহাম্মদ হানিফ ওরফে মুক্তিযোদ্ধা হানিফ, লিটন মুন্সী, আবদুল কুদ্দুছ পাটোয়ারী, বিল্লাল হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন শিকদার, আতিক সরকার, মামুন মৃধা, নাসির উদ্দিন সরদার, আবুল কাসেম, আবুল কালাম আজাদ, আবদুর রহিম, আমিনুল ইসলাম, জাহেদ আলী, মোতালেব ও সুফিয়া বেগম।

যারা আহত হয়েছিলেন

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি (তৎকালীন প্রেসিডিয়াম সদস্য) জিল্লুর রহমান, প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক, ঢাকার সাবেক মেয়র (প্রয়াত) মোহাম্মদ হানিফ, আমির হোসেন আমু, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ওবায়দুল কাদের, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, কাজী জাফরউল্লাহ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওলাদ হোসেন, মাহবুবা আখতার, অ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল, নাসিমা ফেরদৌস, শাহিদা তারেক দীপ্তি, রাশেদা আখতার রুমা, হামিদা খানম মনি, ইঞ্জিনিয়ার সেলিম, রুমা ইসলাম, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেইন, মামুন মল্লিকসহ চার শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী।

দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে অনেকে কিছুটা সুস্থ হলেও পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে বেঁচে আছেন অনেকে। সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাদের। দেহে অসংখ্য ঘাতক স্পিøন্টারের তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে রাজনৈতিক মাঠে সক্রিয় রয়েছেন আহতরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এধরণের অন্যান্য সংবাদ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি                    

একটি দৃশ্যপট মিডিয়া লিঃ

 
কারিগরি সহায়তায়- White NS

প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST