অবরুদ্ধ একটি পরিবারকে উদ্ধার করতে গেলে এই হামলার ঘটনা ঘটে
নিজস্ব প্রতিবেদক
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইউএনও মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।(৮মে) সোমবার দুপুরের উপজেলার গাজীরটেক এলাকায় একটি অবরুদ্ধ পরিবারকে উদ্ধার করতে গেলে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকার কারণে কেউ আহত হয়নি। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সুশীল সমাজের লোকজন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের গাজীরটেক এলাকায় হুমায়ুন নামে এক ব্যাক্তির পরিবারকে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ পয়ঃনিস্কাশনের লাইনও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে পাকা বাড়িতে অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে এমন একটি লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগী পরিবারটি। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিপক্ষের লোকজনকে ডাকানো হলে, তারা কোন সাড়া দেয়নি।
ফলে আজ সোমবার দুপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ আনসার ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে অবরুদ্ধ পরিবারটি উদ্ধার করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং জখম করার চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করেন।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, হুমায়ুন এলাকায় একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। তার যন্ত্রণায় এলাকার মানুষজন অতিষ্ঠ। সম্প্রতি কবরস্থানের জায়গা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে তার বিরোধের সৃষ্টি হয়। ফলে এ নিয়ে এলাকার লোকজনের সঙ্গে হামলা ও মামলাসহ ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। এরপর থেকে সে এলাকায় নেই। আর তার পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
এ বিষয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিপক্ষকে উপজেলায় ডাকানো হলে, তারা কোন সাড়া দেয়নি। তাছাড়া কেউ অপরাধ করলেও তো আর তার পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা সঠিক না। শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া, পয়ঃনিস্কাশনের লাইন বন্ধসহ চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হবে। এটা তো হতে পারে না। তাই, আজ দুপুরের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে আমরা অবরুদ্ধ পরিবারটিকে উদ্ধার করতে এলাকায় যায়। পরে পরিবারের লোকজন চলাচলের রাস্তাটিতে দেয়া ইটের দেয়াল ভেঙে ফেলা হলে প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলার চেষ্টা চালায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাজিদ মিয়াকে প্রধান আসামী করে ১১জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
একটি দৃশ্যপট মিডিয়া লিঃ
Leave a Reply